বাড়ির চিলেকোঠায় স্বামীর লাশটি বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলছিল এবং স্ত্রীর লাশটি একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, স্ত্রীকে খুন করার পর আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।
বুধবার রাতে ফকিরাপুলের কোমর পানির গলির ৫৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের পাঁচ তলা বাড়ির চিলেকোঠা থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ।
স্বামী শহীদ (৩৬) ওই বাড়িরই কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম মর্জিনা বেগম (২৪)।
দুটি লাশে পচন ধরেছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল।
তিনি বলেন, “মর্জিনার লাশ একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে ভরা ছিল, মুখ ছিল সিমেন্ট দিয়ে আটকানো। শহীদের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।”
এই কর্মকর্তা জানান, দুই তিন দিন ধরে বাড়ির বাসিন্দারা কেয়ারটেকারকে শহীদকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তার ঘরও ছিল বন্ধ।
“পরে থানায় জানানো হলে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টায় গিয়ে ছাদের কলাপসিবল গেট এবং দরজা ভেঙে চিলেকোঠায় তাদের কক্ষে ঢুকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।”
শহীদ স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করলেও তাদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানান জাহিদুল।