বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিজি সাজ্জাদ হোসেন জানান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, কারখানার ভেতর থেকে আনুমানিক ২৭ বছর বয়সী একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লাশ সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঠিক কতজন দগ্ধ হয়েছেন সেই সংখ্যা এখন নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহজামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকমকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর কারখানার ভেতরে ডাম্পিংয়ের কাজ করছেন। তবে কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
একতলা টিনশেড ওই কারখানায় ওয়ান টাইম প্লেট, কাপসহ প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হত। কোম্পানির মালিকের নজরুল ইসলাম। আল-আমিন নামে একজন ওই কারখানার ম্যানেজার।
কারখানার ভেতরে আর কারও মৃতদেহ নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান।
যারা দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে।
এরা হলেন- ফয়সাল (২৯), জাহাঙ্গীর (৫২), শফিকুল (২৭), বসির (২০), ফয়সাল (৩৫), দুর্জয় সরকার (১৭), সুমন ইসলাম (২৫), মেহেদী (২০), আসাদ (২৩), মো. সিরাজ (৫০), সাজিদ (২৯), জিনারুল হোসেন (৩২), সাখাওয়াত (৩০), আবু সাইদ (১৬), সোয়ান (২২), মো. বাবুল (২৫), জাকির হোসেন মাতব্বর (২২), মো. আলম (২২) ও আব্দুর রাজ্জাক (৪২) ।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সাইফুল জানিয়েছেন।