শ্বশুরের মামলায় জামিন পেলেন পিয়াসা

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন তার সাবেক পুত্রবধূ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2019, 10:56 AM
Updated : 11 Dec 2019, 10:56 AM

চাঁদা দাবির অভিযোগে করা এই মামলায় বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি।

আসামির আইনজীবী নজরুল ইসলাম ও সানাউল ইসলাম টিপু আদালতে বলেন, চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হলেও দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা (৩৮৫, ৩৮৬ ) মামলার অভিযোগে যুক্ত নেই। আর গৃহে অনধিকার প্রবেশের যে অভিযোগ (দণ্ডবিধির ৪৪৮ ধারা) রয়েছে, সেটি জামিনযোগ্য। 

শুনানি শেষে বিচারক তোফাজ্জল আসামি পিয়াসার জামিন মঞ্জুর করেন।

পিয়াসার স্বামী সাফাত আহমেদ বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস কারাবাসের পর গত বছরের ২৯ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পেলেও গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠায় আদালত।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চের ধর্ষণের ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দিলদারপুত্র সাফাত। ওই ঘটনার আগে ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত।

আর পিয়াসার বিরুদ্ধে দিলদার মামলাটি করেন চলতি বছরের ৫ মার্চ। তখন বিচারক গুলশান থানা পুলিশকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ১ আগস্ট পিয়াসাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম।

বিচারক ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পিয়াসাকে ১১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। সেই নির্দেশ মেনে বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

মামলায় দিলদার অভিযোগ করেছেন, পিয়াসা ‘ফাঁদে ফেলে’ সাফাতকে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে পিয়াসা ‘মাদকাসক্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত’। তাই সাফাত ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন।

সাফাত ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি পিয়াসা তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ৫ কোটি টাকা দাবি করে বলে দিলদার মামলায় অভিযোগ করেছেন।

অন্যদিকে গত ১১ মার্চ দিলদারের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেছেন পিয়াসা। তাতে শ্বশুরের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন তিনি।

তবে গত ১৭ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, পিয়াসার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

গত ৩০ অক্টোবর বাদী পিয়াসা ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন। শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠিয়ে দেন।