সিটি ভোট: বনানী, মতিঝিল কমিউনিটি সেন্টারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচননে সামনে রেখে বনানী ও মতিঝিল কমিউনিটি সেন্টারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2019, 07:53 AM
Updated : 11 Dec 2019, 07:53 AM

মঙ্গলবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল চূড়ান্ত করা পর্যন্ত সময়ের জন্য রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে এ দুই স্থাপনা ব্যবহার করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বনানী কমিউনিটি সেন্টার ও দক্ষিণ সিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের  জন্য মতিঝিল কমিউনিটি সেন্টার (বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার)  ব্যবহারে বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

একই সঙ্গে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ ও গ্রহণের জন্য এসব স্থাপনা নির্বাচনের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।

আতিয়ার রহমান বলেন, “তফসিল কখন হবে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এগিয়ে রাখছি।”

সবশেষ সিটি নির্বাচনে মহানগর নাট্যমঞ্চ ও ঢাকা জেলা নির্বাচনের আগারগাঁও কার্যালয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।

অর্ধ কোটি ভোটারের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে অর্ধ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রাথমিক তালিকা করার কাজে হাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের এই প্রাথমিক প্যানেল তৈরির জন্য ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন।

মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহার ও প্রচারের জন্য সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ ২০১৫ সালেও ৪০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারির মধ্যে ভোট করতে হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে তফসিল নিয়ে আরেকটা কমিশন সভা হতে পারে। আর মার্চে ভোট করতে হলে ফেব্রুয়ারিতে তফসিল হবে।

নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের দিক থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে, যাতে কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র পাঠানো সম্ভব হয়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ভোটের সময় গণনা শুরু হয়েছে নভেম্বরের শেষ ভাগে। আগামী মে মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে এ ভোটের আয়োজন করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে ইসির সামনে।

এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই ভোটের জন্য একটি সুবিধাজনক তারিখ নির্ধারণ করতে হবে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধনিক সংস্থাটিকে।

নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ইসি সিদ্ধান্ত দিলে যে কোনোদিন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যায়।

বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে এই দুই সিটিতে ভোট করার প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।