সোমবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, অজয় রায় নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন। একজন শিক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন অনুকরণীয়।
রাষ্ট্রপতি শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং অজয় রায়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।”
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অধ্যাপক অজয় রায়ের। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি, সম্প্রীতি মঞ্চের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় অজয় রায় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন। মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা সেলের সাম্মানিক সদস্য হিসবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষক অবসরের পর ইউজিসি অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য ২০১২ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।