জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তানিও গুতেরেসের সঙ্গে দেখা করে পরিচয়পত্র জমা দিয়েছেন বিশ্ব সংস্থাটিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
Published : 07 Dec 2019, 08:44 AM
গত ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করেন ফাতিমা।
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর রাবাব ফাতিমা হচ্ছেন বিশ্বসংস্থায় দেশের পঞ্চদশ স্থায়ী প্রতিনিধি। এই দায়িত্ব নেওয়ার আগে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি।
পরিচয়পত্র দেওয়ার সময় রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তখন গুতেরেস শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
স্পেনের মাদ্রিদে সদ্য সমাপ্ত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কপ-২৫ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টিও বলেন গুতেরেস।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদান এবং বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের কথাও বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
ঢাকায় আসছে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানান রাবাব ফাতিমা ।
ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সঙ্গে এই কর্মসূচি উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এক্ষেত্রে মহাসচিবের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
পেশাদার কূটনীতিক রাবাব ফাতিমা ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগদান করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি নিউইয়র্ক ও জেনেভাস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং কলকাতা ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন।
মানবাধিকার বিষয়াবলীতে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার রয়েছে ব্যাপক অভিজ্ঞতা। লন্ডনে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটে মানবাধিকার বিভাগের প্রধান এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে এই কূটনীতিকের।
রাবাব ফাতিমা হলেন বাংলাদেশ মিশনে দ্বিতীয় নারী স্থায়ী প্রতিনিধি। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইসমত জাহান।