রুম্পার জন্য মানববন্ধন সিদ্ধেশ্বরীতে

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধেশ্বরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের ফটক থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আধা ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বলে রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মাহফুজুল হক ভূঁইয়া জানান।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে শুক্রবার সিদ্ধেশ্বরীতে প্রধান ক্যাম্পাসের সামনে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে যান। সেখানে তারা মানববন্ধন করে রুম্পা ‘হত্যার’ সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

বুধবার রাতে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে দুই ভবনের মাঝখানের এক গলি থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়।

আশপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করলেও সে সময় তার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বজনরা মর্গে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন।

রুম্পা ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন। মালিবাগের শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত।

রুম্পার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ওই থানার এসআই আবুল খায়ের।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর রুম্পা বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনও নেননি তিনি।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে শুক্রবার সিদ্ধেশ্বরীতে প্রধান ক্যাম্পাসের সামনে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।

উঁচু থেকে পড়ে শরীরের যে ধরনের জখম হয়, রুম্পার শরীরে সে ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা খায়ের।

ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতেই রুম্পার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এজন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছে তারা।

রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এবং সেখানে কীভাবে তার লাশ পড়ে থাকল, সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”