তিতুমীর হলের এসব আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক বহিষ্কারের পাশাপাশি হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে সংঘটিত র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসেছে এ সিদ্ধান্ত।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে গত ৬ অক্টোবর তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের মৃত্যু হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে বুয়েট। তাদের দাবি মেনে বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়; পাশাপাশি নেওয়া হয় আরও কিছু উদ্যোগ।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ২১ নভেম্বর আবরার হত্যার অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বুয়েট প্রশাসন।
এরপর বিভিন্ন সময় র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয় ২৭ নভেম্বর।
সর্বশেষ বুধবার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং তিতুমীর হল থেকে আজীবনের জন্য মো. তানভীর হাসনাইন, মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুস্তাসিন মঈন, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ খান, মহিবুল্লাহ হক মুগ্ধ ও আনফালুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়।
তাদের সঙ্গে ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য হল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
তারা হলেন- মো. জাহিদুল ইসলাম, জিহাদুর রহমান, মো. এহসানুল সাদ, আবিদ–উল কামাল, মোহাম্মদ সায়াদ ও মাহমাদুল হাসান রবিন।
এছাড়া হাসিবুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।