সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে দুদকের নোটিশ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2019, 03:22 PM
Updated : 5 Dec 2019, 03:22 PM

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

কমিশনের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের সই করা নোটিশে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এর আগে গত ২৯ অক্টোবর প্রশান্ত কুমার রায়কে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

দুদকের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে ‘স্থির বিশ্বাস জন্মেছে’ উল্লেখ করে প্রশান্ত কুমারকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, “আপনি প্রশান্ত কুমার রায়, পিতা মৃত বিমলেন্দু রায়, আপনার জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।”

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ এর উপ-ধারা (১) এর ক্ষমতাবলে পাঠানো নোটিশে আরও বলা হয়, “আপনি প্রশান্ত কুমার রায়কে আপনার নিজের, আপনার নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অবস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী অত্র আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরিত ছকে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর বরাবরে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।”

নোটিশের সাথে সম্পদ বিবরণী দাখিলের ফরম যুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে বা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশান্ত কুমার রায় ২০১৬ সালের ২০ মার্চ থেকে ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক এই সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যবসা পরিচালনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

তিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ডেনিম পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ডেনিম এক্সপোর্ট প্রসেসিং লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয়ে জনৈক এনামুল হকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব হস্তান্তর বা শেয়ার বিক্রির চুক্তি করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।