পরকীয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার খালেদার আইনজীবী কায়সার কারাগারে

পরকীয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2019, 12:38 PM
Updated : 5 Dec 2019, 12:38 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ হেফাজত ও তার পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুই আবেদন নাকচ করে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে একদিন তাকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়ে কারাগারে পাঠান।

আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই আওলাদ হোসেন। আবেদনের উপর শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন।

অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে কায়সার কামালের পক্ষে আবেদন করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও গোলাম মোস্তফা খানসহ বিএনপিপন্থি ২০/২৫ জন আইনজীবী।

ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান নামে তারই এক কনিষ্ঠ আইনজীবীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে কায়সার কামালকে আটক করে কলাবাগান থানা ‍পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আতিকুর রহমানের অনুমতি ছাড়া তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ, গাড়িতে নিয়ে ঘুরা তথা সম্পর্ক বজায় রেখেছেন কায়সার কামাল। এই সম্পর্কের ফলে যৌন ও সংসার জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাদীর স্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত পরকীয়ায় লিপ্ত হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক। যাদের কাছ থেকে মানুষ শিখবে, যাদের মাধ্যমে দেশের আইন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, তাদের এমন ন্যক্কারজনক কাজ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের। ।

এতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হৈচৈ করে বলেন, এজাহারে এরকম কোনা কথা উল্লেখ নেই। কায়সার কামাল একজন নিয়মিত অনুশীলনরত আইনজীবী (প্রাকটিসিং লইয়ার)। তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাদী নিজেও একজন আইনজীবী, তিনি নিজেও একই দল করেন। তাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হযেছে।

“আমরা সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদকসহ বাদী ও আসামির সঙ্গে বসেছি বিষয়টি সুরাহার জন্য। জামিনযোগ্য ধারায় মামলা বিধায় জামিন দেওয়া হলে উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির অবসান টানতে পারবো বলে কথা দিচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা উপস্থিত সকল আইনজীবী তার জামিনদার হব।”

শুনানি শেষে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে বিচারক খাস কামরায় চলে যান। পরে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেন খাস কামরা থেকে বেরিয়ে মামলার আদেশ পড়ে শুনান।

এর আগেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য কায়সার কামালকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে কোর্ট হাজতে নিয়ে যায়। কায়সারকে আদালতে তোলার সময় এবং বের করার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে শ্লোগান দিয়ে তার মুক্তি চান।