বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সালের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, এর আগে সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৭২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জন এবং দুই কোটি ৫২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জামালকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সাল। অন্যদিকে তার জামিনের আবেদনও হয়।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামালের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের অন্যতম আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামি জামাল জেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে টাকা পাচারের সংশ্লিষ্ট ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে বাবুল চিশতী, তার স্ত্রী-ছেলেসহ ব্যাংকটির বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় চারটি মামলা করে দুদক।
সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখানোসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকটি থেকে ঋণ দেওয়ার অভিযোগে বাবুল চিশতীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এছাড়া গত বছরের ১০ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বাবুল চিশতীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক। আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে কমিশন।
গত বছরের ৮ অগাস্ট দায়ের করা আরেকটি মামলায় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে ফারমার্স ব্যাংকের অর্থে প্রভাব খাটিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
এরপর একই বছরের ২৮ অক্টোবর একটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া এবং সেই অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে। এ মামলায় তার সাথে আরও পাঁচজনকে আসামি করে দুদক।