শীতের আঁচ রাজধানীতেও

পঞ্জিকার খাতা ধরে শীত আসতে দিন দশেক বাকি, তবে এরইমধ্যে গ্রামে-গঞ্জে, নগরে-বন্দরে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2019, 05:05 PM
Updated : 4 Dec 2019, 05:06 PM

রাজধানীতেও দুদিন ধরে টের পাওয়া যাচ্ছে শীতের আঁচ।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলছেন, সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে রাতের তাপমাত্রাও কমেছে। এজন্য শীত অনুভূত হচ্ছে। আরও চার-পাঁচ দিন রাতের তাপমাত্রা এমনই থাকবে, দিনের তাপমাত্রাও বাড়বে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

বুধবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সন্ধ্যায়, ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

“এবারও স্বাভাবিক শীত থাকবে আশা করা যায়। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে দুয়েক দিনের জন্য তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে,” বলেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।

চলতি ডিসেম্বর মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে বলা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।

২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা দেশের সব রেকর্ড ভেঙে নেমে আসে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

তার আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরমধ্যে ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।