জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জালিয়াত চক্র কোন প্রক্রিয়ায় কাজটি করে তা খতিয়ে দেখা হবে কারিগরি তদন্ত দলের দায়িত্ব।
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার (কারিগরি) মো. আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত এ তদন্ত দল ভোটার তালিকা ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কারিগরি দিকগুলো যাচাই করে দেখবে। প্রয়োজনে সরেজমিন তদন্ত করে মতামত দেবে।
গত ১ ডিসেম্বর গঠন করা আট সদস্যের এই কমিটিতে ইসির আইটি শাখা ছাড়াও আইডিইএ প্রকল্প, বুয়েট, কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক বলেন, “কারা, কীভাবে দুর্নীতি করছে- তা খুঁজে বের করবে প্রশাসনিক তদন্ত দল। দুর্নীতি রোধে কঠোর নজরদারি থাকবে আমাদের। যাদের বিরুদ্ধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আসবে, তা আরও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতামত দেবে এ কমিটি।”
এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্তি নিয়ে অধিকতর তদন্তে জন্য এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়েছে ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমন্বয় কমিটি’।
কারিগরি টিম, কমিটি ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থার সঙ্গে ইসি সচিবালয়, এনআইডি উইং-এর তদন্ত কার্যক্রমে সমন্বয় করবে ৬ সদস্যের এই কমিটি।
গত অগাস্ট মাসে এক রোহিঙ্গা নারী ভুয়া এনআইডি নিয়ে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর জালিয়াত চক্রের খোঁজে নামে নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গা সন্দেহে আটকে দেওয়া হয় অর্ধশত এনআইডির বিতরণ।
এনআইডি জালিয়াতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের এক অফিস সহায়ককে দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ইসির চুরি যাওয়া একটি পুরনো ল্যাপটপ জব্দ করে পুলিশে দেন কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। মামলাটির তদন্তে নেমে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ইসির ‘কিছু’ কর্মচারী-কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পায়।
এই তদন্তে নির্বাচন কমিশনের স্থায়ী চারজন ও প্রকল্পের অধীনে কর্মরত সাত কর্মচারীসহ মোট ১৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।
জালিয়াতি চক্র ধরা পড়ার পর নির্বাচন কমিশনের দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি এ নিয়ে মাঠে নামে। তাদের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে কমিশনে জমা পড়েছে।