সিভিএফের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে শেখ হাসিনা

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী বছর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোলাম মুজতবা ধ্রুব মাদ্রিদ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2019, 06:05 PM
Updated : 2 Dec 2019, 07:13 PM

সোমবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ২৫তম বার্ষিক কনফারেন্স অব পার্টিস (কপ-২৫) সম্মেলনের এর উদ্বোধনী দিনে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলডা হাইন প্রস্তাব দিলে তাতে রাজি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাই যদি চায় তাহলে আমি সিভিএফ এর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে রাজি আছি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রী স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলামও ছিলেন। 

মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলডা হাইন ক্লাইমেট ভালনারেইবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

সিভিএফ ফোরাম বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলায় কাজ করার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কাজ করছে।

সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইইউ

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মারিয়া সাসোলি।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তারা জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশকে  আরও সাহায্য করবে। জলবায়ু ইস্যুতে তরুণদের কিভাবে যুক্ত করা যায়, সেটাও আলোচনা হয়েছে।”

শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায়ও ইইউর সহযোগিতা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, “মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা কন্টিনিউয়াস ডায়ালগ করে যাচ্ছি। তবে সমস্যা হচ্ছে, নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় রোহিঙ্গারা যাচ্ছে না। এটা না হলে ওরা যাবে না।”

মোমেন বলেন, “ইইউ প্রেসিডেন্ট জিজ্ঞেস করেছেন, চায়না রোহিঙ্গা ইস্যুতে কীভাবে সাহায্য করছে? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চায়না, ইন্ডিয়া, জাপান, এরা সবাই আমার সঙ্গে একমত। তাছাড়া মিয়ানমারের আশপাশের দেশ, থাইল্যান্ডসহ সবাই মনে করে, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া উচিৎ।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের উচিৎ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা।

“কারণ আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। আমাদের সেনাপ্রধানও মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রতিটি পর্যায়ে আমরা সহযোগিতা এবং কানেকশন রেখেছি। আমি চাই, এলাকাটা শান্তিপূর্ণ এলাকা হবে।”

মোমেন বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমরা সবুজায়ন চাই, গ্রিন হাউজ গ্যাস কমাতে চাই। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমার কক্সবাজারের সব গাছপালা রোহিঙ্গারা উজাড় করে দিয়েছে। এই ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা চাই।”