নুসরাত হত্যা: খালাস চেয়ে আপিল অধ্যক্ষ সিরাজসহ ৪ ফাঁসির আসামির

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সাবেক অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ-দৌলাসহ মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আসামি খালাস চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2019, 11:32 AM
Updated : 2 Dec 2019, 11:32 AM

তাদের আপিল আবেদন সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে বলে আসামিদের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহে হাই কোর্টের কোনো একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠতে পারে।”

আপিলকারী অন্য তিন দণ্ডিত হলেন- উম্মে সুলতানা ওরফে পপি, নুর উদ্দিন ও জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন।

নুসরাত হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশের ‘ডেথ রেফারেন্স’ ২৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে পৌঁছে। সেদিন ডেথ রেফারেন্সের শুনানি দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছিলেন, “মামলাটি যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়, সেজন্য আমার পক্ষ থেকে যত রকম পদক্ষেপ নেওয়ার সবই নেব।”

রায় ঘোষণার সাত কার্যদিবসের মধ্যে ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য উচ্চ আদালতে পাঠানোর বিধান অনুযায়ীই সেদিন ডেথ রেফারেন্স আসে উচ্চ আদালতে।

ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় সিরাজসহ ১৬ জনকে গত ২৪ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড দেয় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আদালত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে।

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন, মহিউদ্দিন শাকিল ও মোহাম্মদ শামীম।

ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেয় তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাই কোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মামলার সকল নথি হাই কোর্টে পাঠিয়ে দেয়, যা ‘ডেথ রেফারেন্স’ নামে পরিচিত।

ওই নথি আসার পর হাই কোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।