রাজাকারের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে

একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে যে সব বাঙালি বেতনভুক্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল, তাদের তালিকা বিজয় দিবস থেকে প্রকাশ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2019, 06:36 PM
Updated : 1 Dec 2019, 06:36 PM

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, “তালিকা হাতে আসা শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ১৬ ডিসেম্বর থেকে যতটুকু আসবে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে।”

একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

গত ২৫ অগাস্ট সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানায় মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কাজ শুরু করে বলে জানানো হয়। গত ২৬ মে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, রাজাকার, আল- বদর, আল শামস, শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করে তা রক্ষণাবেক্ষণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আধা সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

সংসদীয় কমিটির রোববারের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত ২১ মে ১৯৭১ সালের বেতনভোগী রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ২৮ তারিখ ওই তালিকা করার জন্য আবারও তাগিদ দেওয়া হয়।  

ডিসিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোনো বেতনভোগী রাজাকার ছিল না। চাঁদপুরে ৯ জন, মেহেরপুরে ১৬৯, শরীয়তপুরে ৪৪, বাগেরহাটে একজন ও নড়াইলে ৫০ জন রাজাকার ছিল। তবে এসব রাজাকারদের নামের তালিকা সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া হয়নি।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা। এক একটি বাড়ী নির্মাণ করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রধানমন্ত্রী ‘মুজিব বর্ষে’ মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন।

শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম ও এ বি তাজুল ইসলাম অংশ নেন।