অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটি শনিবার তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কারা মহাপরিদর্শকের দপ্তরে জমা দেন।
কমিটির অন্যতম সদস্য ডিআইজি টিপু সুলতান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিরা কারাগার থেকে যাওয়ার সময় তাদের কাছে টুপি থাকার কোনো প্রমাণ তদন্তে পাওয়া যায়নি। কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফলতিও দেখা যায়নি।”
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে গত বুধবার সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।
রায়ের পর আদালত কক্ষেই আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যানের মাথায় দেখা যায় একটি কালো টুপি, সেখানে আইএস এর পতাকার ঢঙে আরবি লেখা। পরে আসামিদের কারাগারে নেওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর মাথাতেও একই ধরনের টুপি দেখা যায়।
আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কীভাবে ওই টুপি তারা পেলেন- সে বিষয়ে সেদিন স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি কেউ। পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) জাফর আহমেদ সেদিন বলেছিলেন, তারা প্রথমে ধর্মীয় টুপি বলেই মনে করেছিলেন। পরে বিষয়টি নজরে আসে।
আর জেলার মাহবুব আলম বলেছিলেন, রায়ের আগে কারাগার থেকে যাওয়ার সময় আসামিদের কারও মাথায় ওই রকম কালো টুপি ছিল না। রায়ের পর তারা ফিরলে তল্লাশি করা হয়েছিল, তখনও ওই রকম টুপি পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সেদিনই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ডিআইজি টিপু সুলতান এবং সহকারী মহাপরিদর্শক আমিরুল ইসলাম।
সেদিন আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের ধারণা, হাজতখানা থেকে বের হওয়ার সময় রিগ্যান ওই টুপি উল্টো করে পড়েছিলেন। রায়ের পর তিনি টুপি উল্টে নেওয়ায় আইএস এর চিহ্ন সামনে চলে আসে। পরে প্রিজন ভ্যানে তার কাছ থেকে নিয়েই রাজীব গান্ধী সেই টুপি মাথায় দেন।
প্রসিকিউশন পুলিশের উপ কমিশনার জাফর হোসেন সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করে দেখছেন। ওই টুপি আসামিরা সঙ্গে করে এনেছেন না আদালত চত্বরে কেউ তাদের দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।