এ লক্ষ্যে আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (সাধারণ সেবা, হিসাব ও বাজেট) খোরশেদ আলম জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সব এলাকায় বিতরণ কার্যক্রম চললেও আমরা শতভাগ নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে পারিনি।
“যারা এখনও হাতে পাননি তাদেরকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিয়ে সম্মানিত করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর একটা কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে এনআইডি উইং।”
এ নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, “পেপার লেমিনেটেড এনআইডি রয়েছে সবার কাছে। কেউ কেউ স্মার্ট কার্ড পাননি বা সংগ্রহ করেননি তাদের তথ্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগ্রহ করে ইসি সচিবালয়ের এনআইডি উইংয়ে পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা। এরপর স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত করে বিজয় দিবসের আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, সাধারণত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানান। সেখানে স্মার্টকার্ড বিতরণের কর্মসূচি রাখলে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত ও উপকৃত হবেন, অনুষ্ঠানের গুরুত্বও বাড়বে।
মাঠ কর্মকর্তাদের জন্য থাকছে ব্যবস্থা
বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা স্মার্ট কার্ড পাননি, তাদেরও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এ কর্মসূচি সফল করতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এনআইডি নম্বর, নাম, পদবী ও কর্মস্থল তথ্যও পাঠাতে বলা হয়েছে।