ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি থেকে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে শ্রমিকদের এই আন্দোলনের সমালোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির ছাত্র নূর।
তিনি বলেন, “রাস্তাঘাটে যে যানবাহন চলে তার ৬০ শতাংশ ফিটনেসবিহীন, ৪০ শতাংশ লাইসেন্সবিহীন। এখন নতুন আইনে তারা দেখতেছে তাদের ব্যবসায় লস হবে, তাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে। তাই তারা সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে হুজুগের ওপর একটি আন্দোলন করছে।
“অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের বাসে হামলার সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের দ্বায়িত্ব পালন না করে ভিডিও ধারণ করেছে। এটা একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা।”
এর বাইরে ওয়ারি বাস চালকের গায়ে আলকাতরা মারা হয়, টঙ্গীতে ক্ষণিকা বাস ভাংচুর হয় এবং আরও কয়েকটি রুটের বাস আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বক্তারা।
এসব ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করে ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস ঈ নোমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা মানে ঢাবির ঐতিহ্যের ওপর হামলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর হামলা। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
“ধর্মঘটের নাম করে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভাংচুর করে, তারা সন্ত্রাসী। এ সকল সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনের পর ডাকসু নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে বাস হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন উপাচার্য।