এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর তা ঢাকার একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার তা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলাম এই তথ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
ছয় বছরের সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা করায় হারুন অর রশীদকে একমাত্র আসামি করে গত ৫ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেন ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৬ বছরের যুবক হারুন ধর্ষণের পর শিশুটির গলায় শক্ত পাটের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
ওয়ারিতে যে ভবনে সায়মা তার বাবা-মার সঙ্গে থাকত, ওই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাটে অতিথি হয়ে এসেছিলেন হারুন। তার খালাত ভাই পারভেজের বাসায় প্রায় দুমাস ধরে থাকছিলেন হারুন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ৫ জুলাই সন্ধ্যায় পারভেজের ছোট ছেলের জন্য খেলতে ওই বাসায় এসেছিল সামিয়া। তখন হারুন ছাদ দেখানোর কথা বলে সায়মাকে ওই ভবনের ৯ তলায় একটি খালি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষণ ও খুন করে।
মেয়ে হত্যাকাণ্ডের পর আব্দুস সালাম গত ৬ জুলাই ওয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।