পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারার বিষয়টি জানানোর পর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
সম্পত্তি জব্দের এই আদেশ বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হল, তা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জানাতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী (জীবন) গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
সেখানে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল বাদী ফেইসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে ‘কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে কথা’ বলছেন এবং কোরআন ‘অবমাননা’ করছেন।
“এছাড়া তিনি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন,” বলা হয় অভিযোগে।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল সেদিন বাদীর জবানবন্দি শুনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী গত ১০ সেপ্টেম্বর যে প্রতিবেদন দাখিল করেন, সেখানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়।
বিচারক ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। তাকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না তা ১৯ অক্টোবর পুলিশকে জানাতে বলা হয় ওই আদেশে।
মঙ্গলবার পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, সেফুদাকে তারা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আদালত আসামির সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয় বলে ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন জানান।