এছাড়া তার আরও দুটি গাড়ি নজরদারিতে রাখতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডি করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার তিন রাস্তার মোড়ের একটি গ্যারেজ থেকে রাজীবের গাড়িটি জব্দ করেন তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
নীল রঙের এ গাড়িটি ওই এলাকার ‘সেবা অটোমোবাইল’ নামের একটি গ্যারেজে সার্ভিসিংয়ের জন্য রাখা ছিল।
মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা জিডিতে তদন্ত কর্মকর্তা লিখেছেন, রাজীবের আরও দুটি গাড়ি ওই গ্যারেজের সামনে পাওয়া গেছে। এই দুটি গাড়ির একটি নম্বরবিহীন ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। আরেকটি গাড়ি ভালো অবস্থায় থাকলেও ব্যাটারির কারণে চালু হচ্ছিল না। দুই থেকে তিন মাস ধরে গাড়িগুলো সেখানে পড়ে আছে। গাড়ি দুটি নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন।
ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ১৯ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে রাজীবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা রাজিব ঢাকা উত্তরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের (মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকার) কাউন্সিলর। যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করে যুবলীগ।
এরপর গত ৬ নভেম্বর রাজীবের আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়ার অভিযোগে মামলা করে দুদক। এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
রাজীবের সম্পদ
রাজীবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় বলা হয়, তার অবৈধ সম্পত্তির মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর প্লটে একটি দুই তলা ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। মোহাম্মপুরের কাটাসুরের ৩ নম্বর রোডে তার একটি প্লট রয়েছে।
এছাড়া মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডে পাঁচতলা ও চারতলা দুটি বাড়ি, একই এলাকার চাঁন মিয়া হাউজিং লিমিটেডে তিনতলা বাড়ি এবং সাত মসজিদ হাউজিংয়ে ১৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে চারতলা বাড়ির (ছায়াবিথি) মালিক ইয়াছিন হাওলাদার, যিনি রাজীবের চাচা।
রাজীব অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ এসব বাড়িতে বিনিয়োগ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ।
মামলায় বলা হয়, রাজীবের চাচা ইয়াছিন হাওলাদার রাজমিস্ত্রি ছিলেন এবং এর বাইরে তার আয়ের কোনো উৎস ছিল না, যদিও তিনি বর্তমানে নিজেকে ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দেন।
এজাহারে বলা হয়, তারিকুজ্জামান রাজীব নিজের নামে-বেনামে এবং তার চাচা ইয়াছিন হাওলাদার ও অন্যের নামে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখে ভাড়াসহ অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করছেন। এ সমস্ত সম্পদ তার আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি এবং আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।