অভিযোগ অস্বীকার করে বেসরকারি এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গুরুতর অবস্থায় দুই দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এই রোগীর চিকিৎসায় সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন তারা।
মঙ্গলবার ভোরে আসমা বেগম (৩০) নামে ওই প্রসূতির মৃত্যুতে স্বজনদের ক্ষোভ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ এসে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
সেখানে আসমার খালা ফেরদৌসী আক্তার লিপি সাংবাদিকদের বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে আসমার পেট ব্যথা হচ্ছিল। পেটের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনার কথা চিকিৎসকরা বলার পর বরিশাল থেকে ঢাকায় এনে রোববার দুপুরে আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
“এই আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডাক্তাররা পেটে বাচ্চা সুস্থ নাই বলে মতামত দেওয়ার পরেও জরুরি কোনো চিকিৎসা না দিয়ে অবহেলা করেছে। দ্রুত অপারেশন করে বাচ্চা বের করলে আসমা বেঁচে যেত।
“মধ্যরাতে যখন আসমার অবস্থার অবনতি হল তখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। ফলে রাত ৩টার দিকে মৃত সন্তান প্রসব করার পাশাপাশি আমাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।”
আসমার মৃত্যুর খবর জানার পর তার স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে রমনা থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম মুকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। রোগীর প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া রোগী অত্যন্ত ক্রিটিকাল অবস্থায় এসেছিলেন।
“আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না।”