ঢাকা মহানগর পুলিশের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী হাকিম আব্দুল আল মামুনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকাল থেকে পুরান ঢাকার নয়াবাজার, নাজিরা বাজার, ধূপখোল, গেন্ডারিয়া এবং ওয়ারির বিভিন্ন দোকানে এ অভিযান চালানো হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নির্বাহী হাকিম বলেন, “আমরা অনেক গ্রাহকের কাছে অভিযোগ পেয়েছি। লবণের প্যাকেটের গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে বেশি দাম রাখায় মোট আটটি মামলা করে আমরা এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছি।”
র্যাবের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট গাওসুল আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিকালে পর গুলশান এলাকায় বিভিন্ন দোকানে লবণের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন তারা। বেশি দাসে বিক্রির কোনো আভিযোগ তারা সেখানে পাননি। তবে দোকানদারদের সতর্ক করা হয়েছে, যেন প্যাকেটের গায়ে লেখা দামই নেওয়া হয়।
বুধবার থেকে র্যাবের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।
লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে সোমবার সন্ধ্যার পর সিলেট, হবিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, নেত্রকোনা জেলায় গুজব ছড়ায় এবং তাতে লবণ কেনার হিড়িক শুরু হওয়ায় দাম যায় বেড়ে।
ঢাকার ভাটারা, মিরপুর, নতুন বাজার এলাকাতেও লবণ কিনতে গিয়ে হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে।
এই পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সঙ্কট রয়েছে মর্মে গুজব রটনা করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।”
লবণসহ যে কোনো বিষয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারাদেশে লবণ নিয়ে গুজব ছড়ানোর সংবাদটি পুলিশ সদরদপ্তরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”