ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা এ অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ই-মেইলে অভিযোগ করেছেন কেবিন ক্রুরা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর ঘটনার সত্যাসত্য জানা যাবে।”
ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগে পাঠানো ওই ই-মেইলের একটি অনুলিপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে এসেছে।
পাইলট ইশরাত গত ছয় বছর ধরে এ ধরনের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই কেবিন ক্রু।
সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আবুধাবিগামী ফ্লাইটে সংঘটিত একটি নিপীড়নের ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।
সেখানে অভিযোগকারী লিখেছেন, কেবিনে দায়িত্ব থাকলেও ক্যাপ্টেন ইশরাত কেবিন ক্রু ইনচার্জকে নির্দেশনা দিয়ে তাকে ককপিটে ডেকে নেন।
”কো-ক্যাপ্টেন ইশাক ককপিটের বাইরে গেলে, তিনি আমার শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তিনি তার ট্যাব বের করে আমাকে নারীদের নগ্ন ছবি দেখানোর চেষ্টা করেন। যদিও আমি তাকে বলেছিলাম, এসবে আমার কোনো আগ্রহ নেই।”
ক্যাপ্টেন ইশরাত তাকে হোটেলে গিয়ে সময় কাটানোর প্রস্তাবও দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই কেবিন ক্রু।
ওই কেবিন ক্রু লিখেছেন, “গত ছয় বছরে যখনই তাকে ফ্লাইটে পেয়েছি, তখনই এমন আচরণ তিনি করেছেন। আমি ধৈর্য ধরে সহ্য করেছি, ভেবেছি সময় গেলে তিনি এসব বন্ধ করবেন।
”কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, তার এমন আচরণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ফ্লাইটে তিনি সীমা অতিক্রম করেছেন। এমনকি তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছেন, তার অসৌজন্যমূলক ও নোংরা প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি আমাকে বিপদে ফেলবেন, সেটা যে করেই হোক।”
অভিযোগের বিষয়ে পাইলট ইশরাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।