এসব মামলায় জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৯০০ টাকা; জব্দ করা হয়েছে দুটি গাড়ির কাগজপত্র।
বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমদিকে আইনের বিষয়ে কঠোর না হতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল। তাই আইন প্রয়োগে তারা ‘কিছুটা নরম’ ছিলেন। এ কারণে জরিমানা কিছুটা ‘কম হয়েছে’।
বিআরটিএ জানিয়েছে, সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে দুটি, এলিফ্যান্ট রোডে দুটি, মিরপুরের কালসী, উত্তরার দিয়াবাড়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ইকুরিয়াতে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) এ কে এম মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাড়ির ফিটনেস না থাকায়, চালকের লাইসেন্স না থাকায়, যানবাহন রংচটা হওয়ায়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের মত ঘটনায় এসব মামলা করেছেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযানের শুরুর দিকে কাউকে তেমন কঠোর শাস্তি তারা দেননি।
“আমরা কাউকে হেভি পেনাল্টি করছি না। এটা খুবই সামান্য। একটু কম মনে হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন একটু সহনশীল হয়ে মামলা দেয়ার জন্য।”
গত বছর ঢাকায় বাসচাপায় দুই ছাত্রছাত্রীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাস হয়। তবে তা এ বছর ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়।
আইনটি প্রণয়নের পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। আইন সংশোধনের দাবিতে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দশ জেলা, রাজশাহী ও শেরপুরে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার সচিবালয়ে বলেন, যত চাপই আসুক সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে আইন প্রয়োগে যেন ‘অযথা বাড়াবাড়ি’ না হয় সে বিষয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।