আইন মানতে সড়কে নেমে মেয়র আতিকের ‘কাউন্সেলিং’

সড়ক আইন মেনে চলায় সড়কে নেমে পথচারী ও গাড়িচালকদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তা পারাপারে পুশ বাটন সিগনাল ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2019, 02:17 PM
Updated : 18 Nov 2019, 02:17 PM

পথচারীদের সড়ক পারাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সোমবার মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউ গ্রিন হেরাল্ড স্কুলের সামনে প্রচারাভিযানে অংশ নেন তিনি।

নতুন আইন মেনে চলায় গুরুত্ব দিয়ে মেয়র আতিক বলেন,  একই নাগরিক সেনানিবাসের বাইরে এবং সেনানিবাসের ভেতরে দুই ধরনের আচরণ করে।

“ক্যান্টনমেন্টে কেউ আইন ভঙ্গ করে না। কারণ সেখানে আইন ভঙ্গ করলে বড় ধরনের জরিমানা ও শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু একই চালক ক্যান্টনমেন্টের বাইরে আসলে আইন অমান্য করে। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার পরে অনেকে ক্ষমতা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন। আইন ভঙ্গকারীরা নিজের বা পরিচিত ক্ষমতাবানদের পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন।”

মানুষ যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং আইন মেনে চলে সেজন্যই শাস্তি এবং জরিমানা বাড়িয়ে নতুন আইন করা হয়েছে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

মেয়র বলেন, “সারা বিশ্বেই কঠোরভাবে আইন মানা হয়। সবখানেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। এর মূল কারণ আইন অমান্য করলে কঠিন শাস্তি এবং বড় অঙ্কের জরিমানা গুণতে হয়।”

প্রচারাভিযানে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে পথচারী ও গাড়িচালকদের প্রচারপত্র বিতরণ করা ছাড়াও ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলায় গাড়ি চালকদের পরামর্শ ও নির্দেশনা  দেওয়া হয়।

এছাড়াও গ্রিন হেরাল্ড স্কুলের সামনে ডিএনসিসির স্থাপন করা পুশ বাটন চেপে সড়ক পার হওয়ার জন্য মেয়র পথচারী ও গাড়িচালকদের কাউন্সেলিং করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এই প্রচারাভিযানে যোগ দিয়ে বলেন, “ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হলে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে হবে।

“আমাদের দেশে এখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালু করতে হবে। রাস্তায় শুধু ট্রাফিক থাকলে হবে না। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার থাকতে হবে। তাহলে সুস্থ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা হবে।”

এই প্রচারাভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন, ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা।