আগামী ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দণ্ডিত ব্যক্তির করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
গত ১৮ জুলাই র্যাব সদর দপ্তরের দেওয়া মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে সাতদিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এম সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সাখাওয়াত হোসাইন খান পরে বলেন, “নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস ও পশু খাদ্য আইনে গত ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।”
এরপর মিজান মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে তিনি গত ২১ জুলাই আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেন।
“কিন্তু সাজার পর চার মাস পার হয়ে গেলেও সে আদেশের অনুলিপি পাওয়া যায়নি। ফলে আপিলও করতে পারছেন না মিজান মিয়া। মামলার ওই আদেশের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তিনি রিট আবেদন করেন,” বলেন আইনজীবী সাখাওয়াত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, “চার মাসেও কেন মামলার সত্যায়িত অনুলিপি দেওয়া হয়নি, তার ব্যাখ্যা জানতেই আগামী ১ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে তলব করা হয়েছে।”
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী আবেদনকারীকে যে দণ্ড এবং সাজা দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার তার আছে।
এজন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনকারী সাজার আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আবেদনকারীকে আদেশের অনুলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা যে নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে, তাতে অবেদনকারীর মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
আপিল করার অধিকার আবেদনকারীর মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু আদেশের অনুলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা ন্যায়বিচার পরিপন্থি।