সিপিবি নারী সেল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, নারী সংহতি, বিপ্লবী নারী ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশের পর এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, নারী সংহতির কেন্দ্রীয় নেত্রী সুলেখা রহমান, বিপ্লবী নারী ফোরামের আহ্বায়ক আমেনা আক্তার, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেত্রী নীতি চাকমা।
সমাবেশে বলা হয়, এ বছর জানুয়ারি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সাড়ে ৮ মাসে ৮৫০ জন নারী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে আগস্ট মাসের একদিনেই ১০৯ জন ফিরেছেন।
“এদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এরা প্রায় প্রত্যেকেই শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার,” বলা হয়েছে নারী সংগঠনগুলোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘ব্যর্থ হয়ে’ এখন রেমিটেন্সের গল্প শোনাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নারী নেত্রীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশে রেমিটেন্স পাঠনো এই শ্রমিকদের নিরাপত্তায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা ও প্রবাসে দূতাবাসগুলো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না।
“এ সকল অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার বিচার যদি হত তাহলে শত শত গৃহশ্রমিককে লাশ হয়ে ফিরতে হত না।”
পরে নয় দফা দাবিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন নারী অধিকার সংগঠনগুলোর নেতারা।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রম আইন ও বিধি অনুযায়ী উপযুক্ত মজুরি আদায়ের পাশাপাশি তাদের উপর নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের মধ্যে প্রয়োজনীয় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর।