দুই সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আদালত রুলও জারি করেছে।
চিপসের প্যাকেটসহ অন্যান্য শিশু খাদ্যের প্যাকেটে খেলনা না ঢুকাতে উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এম এম ইস্পাহানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিং, ইনগ্রিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিং, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বিএসটিআইর মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জমান; এ আইনজীবীবই গত ৪ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেছিলেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিবেশি দেশ ভারতে চিপসের সাথে খেলনা খেয়ে ফেলার পর দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ছোটো ছোটো খেলনা চিপসের প্যাকেটে দিয়ে দেয়। এখন সেই চিপসের সাথে যদি বাচ্চারা সেটিও খেয়ে ফেলে আমাদের শিশুদেরও একই পরিণতি হতে পারে।
“প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর। এ কারণেই রিট আবেদনটা করেছিলাম। আদালত সন্তুষ্ট হয়েছেন আমাদের আবেদনে। তাই নির্দেশনাসহ রুল জারি করেছেন।”
আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে এ আইনজীবী বলেন, “আদালত এটাও বলেছেন যে, এটা (শিশু খাদ্যের প্য্যাকেটে খেলনা ঢোকানো) ক্রিমিনাল অফেনসের পর্যায়ে পড়ে।
“কারণ চিপস বা শিশু খাদ্যের প্যাকেটে খেলানা দিয়ে শিশুদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। সেই খাবার খাওয়ার সময় কোনো শিশু যদি অসচেতনভাবে খেলনা খেয়ে ফেলে এবং সে কারণে যদি কোনোরকম ক্ষতি হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি প্ররোচনার জন্য দায়ী হতে পারে।”
এম এম ইস্পাহানির ‘মাইটি’ ও ইনগ্রিনের ‘ডরে ডরে’ চিপসের প্যাকেটে খেলনা পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে রিট আবেদনে।