হাই কোর্টের নির্দেশে রোববার তারা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই তিন আসামি হলেন- এফআর টাওয়ারের জমির মালিক সৈয়দ মো. হোসেন ইমাম ফারুক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী (নান্নু) ও সাবেক উপ-পরিচালক (স্টেট) মো. শওকত আলী।
আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম ও আসলাম উদ্দিন।
গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ নিহত হওয়ার পর এই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয়গুলো বেরিয়ে আসতে থাকে।
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার।
নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন দুটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে নকশা জালিয়াতির মামলায় ফারুকসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
ফারুক, নান্নু ও শওকত গত অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ঢাকার জজ আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু দুদকের আবেদনে হাই কোর্ট তাদের জামিন বাতিল করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। আপিল বিভাগেও ওই আদেশ বহাল থাকে।
সে অনুযায়ী আসামিরা রোববার জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।