প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আবেদনটি খারিজ করে রায় দেয়।
ফলে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সরকারের সামনে আর কোনো আইনগত বাঁধা থাকছে না। তবে আসামি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন।
আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
মাহবুবে আলম পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া ছাড়া এ আসামির সামনে আইনগত কোনো পথ নাই। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন না করলে বা করার পর রাষ্ট্রপতি সেটি গ্রহণ না করলে সরকার তার ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে।”
২০০৫ সালের ৬ ডিসেম্বর নেত্রকোণার উদীচী ও শতদল শিল্পী গোষ্ঠীর কার্যালয়ে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় আটজন নিহত ও ৪০ জন আহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নেত্রকোণা থানায় দুটি মামলা করে।
হত্যা মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামি আসাদুজ্জামান পনির, সালাউদ্দিন ওরফে সোহেল ও ইউনুছ আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২।
মামলার অপর আসামি সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির অন্য মামলায় ফাঁসি কর্যকর হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী ফারজানাকে খালাস দেয় আদালত।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পনির আপিল করেন। পাশাপাশি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য হাই কোর্টে আসে।
শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে।
জেএমবি সদস্য পনির হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন, যা ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়। ফলে সর্বোচ্চ সাজার আদেশই বহাল থাকে।