‘আইনি মতামত’ নিয়ে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন: সচিব

আইনি মতামত নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেবে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2019, 01:52 PM
Updated : 14 Nov 2019, 01:52 PM

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

তবে কবে নাগাদ এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে সে বিষয়ে গণশিক্ষা সচিব বলেন, “১১ ও ১৩তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন আইনি মতামত দিয়ে জারি করা হবে।”

এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা ১১তম এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান।

আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকেরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে হালনাগাদ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এরই প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেলে ১১তম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দিতে সম্প্রতি সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। 

ইতোমধ্যে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে তারা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া চিঠিতে ওই বেতন কাঠামো হালনাগাদ করে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণবিহীন সবারই সমান গ্রেডের কথা বলা হয়েছে।

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে এই আদেশ কার্যকর করতেও বলা হয়েছিল।

আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করা হয়েছে কি না সে প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষা সচিব বলেন, “আমরা তো আপিল করেছি। হাই কোর্টের রায় হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে যখন নিষ্পত্তি হবে মামলা যদি সরকার রিভিউ করে তখন আইনি প্রক্রিয়ার সুরাহা হবে, তখনই কেবল বোঝা যাবে আদালত অবমাননা করছি কি না। আমরা এখন তা করছি না।”

নতুন এই বেতন কাঠামোতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সম্মতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, “শিক্ষকদের অরাজি করে করতে চাচ্ছি না।

“আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব দেওয়া ছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যেতে হয়, তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করেছি, তারা যে ধারণা দিয়েছে। পরবর্তীতে আমরা রিভিউ করেছি, আমরা একটি নিয়োগ বিধি করছি, ১৯৮৫ সালের, এটি শেষ নিয়োগ বিধি করা হয়েছিল।”

আর সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, “মানা না মানা হচ্ছে পরের বিষয়। প্রধান শিক্ষকদের দুই স্কেল বলবৎ আছে। একটি হচ্ছে ১১ এবং অপরটি হচ্ছে ১২। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ১১ এবং প্রশিক্ষণ ছাড়াদের ১২। ওইটাকে এক করা হয়েছে ১১তে।”

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণ ছাড়া শিক্ষকদের এক গ্রেডে নিয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, “সহকারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ১৪ এবং প্রশিক্ষণ ছাড়াদের ১৫; ওটা এক করে ১৩ করা হয়েছে।

“প্রশিক্ষণের ম্যানডেট হচ্ছে সরকারের। যখন তারা নিয়োগ পায় প্রশিক্ষণের দায়িত্ব সরকারের, তাহলে কেন শিক্ষক সাফার করবে?”

অষ্টম পে স্কেল অনুযায়ী ১১তম গ্রেডের মূল বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা; আর ১২তম গ্রেডের মূল বেতন ১১ হাজার ৩০০ টাকা।