বৃহস্পতিবার এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
এই মামলারি মোট আসামি ছয়জন। এদের মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে।
জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। তার পক্ষে মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। আর চালকের সহকারী কাজী আসাদ এখনও পলাতক।
আসামি মাসুমের বাসটি গত বছরের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের উপরে উঠে গিয়েছিল, তাতে নিহত হন দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব। ওই বাসটির মালিক শাহাদাত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে জাবালে নূরের দুটি বাস পাল্লা দেওয়ার সময় একটি এমইএস বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের উপর উঠে যায়।
ঘটনার দিন রাতেই নিহত দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অর্থাৎ অপরাধজনক নরহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
দিয়া ও রাজীবের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনে এক সপ্তাহ অচল ছিল ঢাকার সড়ক, আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জেলায়। শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয় সরকারকে।
শিক্ষার্থীদের দাবিতেই সংসদে পাস হয় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সড়ক পরিবহন আইন, যা গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।