বুধবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি: কাউকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন নয়’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে তারা এই পরামর্শ দেন।
ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ, টেকনোলজি অ্যান্ড পার্টনারশিপ বিভাগের পরিচালক কেএএম মোর্শেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।
প্রকৃত উন্নয়নের জন্য বক্তব্যের চেয়ে কাজ বেশি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নকাজে বেসরকারি সংস্থাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
“বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ২০ ভাগ থেকে কমিয়ে ১১ ভাগে নামিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। ব্র্যাকের মতো এনজিওগুলো সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে বলেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অতিদরিদ্রের সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে। ভিশন ২০৪০ অর্জন করতে হলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, “অধিকার যে সবার সমান সেটা বোঝার জন্য মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু সেই উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেন পিছনে রয়ে না যায় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।”
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, “কে পিছিয়ে আছে অনেক সময় আমরা সেটাই জানি না, যা উন্নয়ন প্রক্রিয়ার জন্য একটি বড় বাধা। একেক দেশের সমস্যার ধরন একেক রকম। বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান বাংলাদেশকেই করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের বিপুল সংখ্যক প্রান্তিক মানুষ মূলধারার উন্নয়নের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
এদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ১২টি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ‘লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড’- এলএনওবি নামের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন করে।
বাংলাদেশে মূলধারার উন্নয়নের বাইরে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য ২০১৮ সালে ব্র্যাক, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, কেয়ার, ভিএসও ইন্টারন্যাশনাল, সিবিএম, সেভ দ্য চিলড্রেন, ইসলামিক রিলিফ, প্ল্যান বাংলাদেশ ও টিআইবি- এই নয়টি সংস্থা মিলে এলএনওবির বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম গঠন করে।
তারা ইতোমধ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিহ্নিতকরণ এবং তাদের ঘিরে তথ্যের অভাব ও উন্নয়ন নীতিমালার অপ্রতুলতা এবং ভাসমান জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির বর্তমান অবস্থার ওপর গবেষণা করছে।