রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়া: শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2019, 02:35 PM
Updated : 13 Nov 2019, 02:35 PM

তিনি বলেছেন, “জাতির পিতাকে হত্যার পর প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পরে রোহিঙ্গা সমস্যাটা শুরু হয়। রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের যে হাত ছিল, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”

বুধবার জাতীয় সংসদে তরীকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে তার সরকারের তৎপরতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করি। ইতোমধ্যে উদ্যোগও নিয়েছি।”

তবে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে কাউকে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।

রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় ভারত ও চীনের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এ বিষয়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছি। কেবল ভারত আর চীন নয়- বাংলাদেশসহ মিয়ানমারের সাথে যে কয়টি দেশের বর্ডার আছে, সে সবগুলো দেশের সাথে আমরা আলোচনা করেছি।

“চীনের রাষ্ট্রপতি আমাদের কথা দিয়েছেন এ সমস্যা সমাধানে যথাযথ ভূমিকা রাখবেন। ইতোমধ্যে তারা প্রতিনিধিও পাঠিয়েছেন। তারাও আলোচনা করছেন। চাপ দিচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।

“প্রত্যেকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। বিষয়টির সমাধান দরকার এটা সকলেই অনুধাবন করেন। তবে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল, মিয়ানমারের সাথে যে সম্পর্ক, তা রেখেই তারা চান রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজের দেশের ফিরে যেতে পারে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেসব দেশের সাথে মিয়ানমারের বর্ডার আছে তার প্রতিটির সাথেই মিয়ানমানের ছোট ছোট এথনিক গ্রুপের সমস্যা লেগেই আছে। এই সমস্যাগুলো একত্রে সমাধান করা যায়। তার জন্য আলাপ-আলোচনা অব্যাহত আছে।”

মিয়ানমারের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার একসময় আগ্রহ দেখিয়েছে। তালিকাও হয়েছে। যাওয়ার সময়ও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানকার রোহিঙ্গারা আন্দোলনের মতো শুরু করল। তাদের মধ্যে একটা প্রবণতা দেখা দিল যে, তারা যাবে না। তাদের আরও কিছু ডিমান্ড আছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা নিরাপত্তা চায়।

“এখন এটা মিয়ানমারের ওপর নির্ভর করছে। তাদের নাগরিক যারা আমাদেরে দেশে রয়েছে, তাদের মাঝে অন্ততপক্ষে একটা বিশ্বাস জাগাতে পারে যে তারা সেখানে ফিরে গেলে নিরাপদে থাকবে। তাহলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।”