ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ বুধবার এ আদেশ দেন বলে পেশকার ওয়েজ আহমদ জানান।
১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকার ১ নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
এজাহারে বলা হয়, সেলিম প্রধান তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে একাধিক প্লট, বাড়ি ও ফ্ল্যাট অর্জন করাসহ দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে জুয়াবিরোধী অভিযানের পর ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব।
পরে তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। সেখান থেকে সাতটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া জব্দ করার পাশাপাশি সেলিমের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই সেলিমকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা হয়।
পি২৪ গেইমিং নামের একটি কোম্পানি খুলে অনলাইনে ক্যাসিনোর কারবার চালিয়ে আসছিলেন সেলিম প্রধান। একটি ‘গেইটওয়ের’ মাধ্যমে এক মাসে তার একটি ব্যাংক হিসাবে নয় কোটি টাকা জমা হওয়ার তথ্য পেয়েছে র্যাব।