গোপালগঞ্জের সাবেক ভিসির দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2019, 07:13 AM
Updated : 13 Nov 2019, 07:22 AM

বুধবার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাহকে এ অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।

শিক্ষার্থীদের প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন নাসিরউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভর্তি ফি, হল ভাড়া, ক্রেডিট ফি, চিকিৎসা ফি আদায় করেছে।

এসব নিয়ে একটি ফেইসবুক পোস্টের জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ও আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সময়িক বহিষ্কার করার পর উপাচার্য নাসিরের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যেই ওই শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের কথোপকথনের একটি অডিও ভাইরাল হয়, যেখানে ওই ছাত্রীকে বকাঝকা ও হুমকি-ধমকি দিতে শোনা যায় উপাচার্যকে। মেয়েটির বাবাকে নিয়েও তীর্যক মন্তব্য করেন তিনি।

ওই অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে উপাচার্যের সমালোচনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও জোরদার হয়। বিক্ষোভের মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৪টি বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এ আন্দোলন ঠেকাতে ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীরা তার প্রতিবাদ করলে একদল বহিরাগত হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে আহত করে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কমিটি করে ইউজিসি। ইউজিসি তদন্ত দল তদন্তে দোষ পেয়ে উপাচার্যের পদ থেকে নাসিরকে সরানোর সুপারিশ করলে ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাস ছাড়েন তিনি। পরদিন পদত্যাগ করেন নাসির।