এদের মধ্যে সাতজন রয়েছেন আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে, দুজন রয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এবং দুজন রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মঙ্গলবার ভোররাতে কসবার মন্দভাগ স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন এরা। এই রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হন অর্ধ শতাধিক যাত্রী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন আহত রেলযাত্রী মুন্না মিয়া (২০) ও মির্জা সাইফুদ্দিন সৈকত (২৮)।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওমর আলীর ছেলে মুন্না পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি। ট্রেনে চেপে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছিলেন কক্সবাজার।
মুন্নার চাচা ফিরোজ বলেন, মুন্নার ডান পা ভেঙে গেছে। তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
আহত সৈকত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে। চাকরির খোঁজে গত রোববার সিলেটে গিয়েছিলেন তিনি; ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়লেন তিনি।
সৈকতের মাথা ও মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
আহত সোমা আক্তার সুমিসহ (২০) তার পরিবারের চার সদস্যকে ঢাকায় এনে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সুমিসহ দুজনকে পাঠানো হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। অন্যজন হলেন সুমির নানী সুরাইয়া খাতুন (৬৫)।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মুসলিম মিয়ার মেয়ে সুমি থাকেন চট্টগ্রাম ভাটিয়ারিতে বাবা-মার সঙ্গে।
গত বৃহস্পতিবার সুমির বাবা মারা যান। সে কারণে বাড়ি গিয়েছিল পরিবারের সবাই। শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন তারা।
ট্রেনে তার সঙ্গে থাকা মা জাহেদা বেগম (৪০) মারা যান। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাবা-মাকে হারালেন সুমি।
সুমির ভাই ইমন (১৮) আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন আবুল কালাম (৫২), হাসান আলী (৭০), নিজাম (২২)।
আহত সোহেল মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী নাজমা (৩০) এবং তাদের ছেলে নাফিজ (৪) রয়েছেন পঙ্গু হাসপাতালে। সোহেলের দুই মাস বয়সী মেয়ে সোহা এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান।
পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক গনি মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত যে নয়জনকে পঙ্গু হাসপাতালে আনা হয়, তাদের অধিকাংশেরই হাত কিংবা পা ভেঙেছে।