মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রুম টু রিড বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী নেতৃত্ব যদি না থাকতো এবং তার কাছ থেকে আমরা যদি সেই সাহস না পেতাম, আমি মনে করি না, রাষ্ট্র যেভাবে করে কন্যাশিশুদের জন্য মাঠে নেমেছে, সেইভাবে করে কখনো নামার মানসিকতাই থাকতো না।”
কন্যাশিশুদের নিজেদের ইচ্ছা ও স্বাচ্ছন্দতায় পেশা নির্বাচন করায় গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কন্যাদের, আমাদের সন্তানদের এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা শুধু বাধা সরাব, তা নয় কিন্তু; এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদেরকে সহযোগিতা দেওয়াটা, তাদের হাত ধরে তাদেরকে এগিয়ে দেওয়াটাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।”
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, “সারাদেশের স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাদেরকে সৃষ্টিশীল, নৈতিক ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ করার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে একটু দূরে এসে সামনের বছর থেকে নতুন কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, অভিনেত্রী বন্যা মির্জা, রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার।
কন্যা সন্তানদের প্রতি বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করে আসছে জাতিসংঘের রাষ্ট্রগুলো।