ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় মিলেছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৬ জনকে শনাক্ত করার পর তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2019, 03:55 PM
Updated : 12 Nov 2019, 03:56 PM

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বৈদ্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহত ১০ জনের মরদেহ স্থানীয় বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে, তিন জনের লাশ কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এবং দুজনের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।

বাকি একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তার লাশ সেখান থেকেই স্বজনরা নিয়ে গেছেন বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নিহতদের মধ্যে আটজনের বাড়ি হবিগঞ্জে। এছাড়া চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার তিনজন করে এবং মৌলভীবাজার ও নোয়াখালীর একজন করে রয়েছেন নিহতদের মধ্যে।

নিহতরা হলেন-

>> হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের হাসান আলীর ছেলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলী মো. ইউসুফ (৩২)

>> হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাদ গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩০)

>> হবিগঞ্জের টাম্বুলিটুলা মহল্লার সোহেল মিয়ার দুই বছর বয়সী মেয়ে আদিবা আক্তার (২)

>> হবিগঞ্জ সদরের ভোইল্লা এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১২)

>> হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও গ্রামের আব্দুল হাশিমের ছেলে হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র সুজন আহমেদ (২৪)

>> হবিগঞ্জ সদরের তিঘুরিয়া সৈয়দাবাদের আজমতউল্লাহর ছেলে রিপন মিয়া (২৫)

>> হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুস সালামের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৩২)

>> হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের বড়বাজার এলাকার সোহামনি (৪)

>> চাঁদপরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমান (৫৫)

>> মুজিবুরের স্ত্রী কুলসুম (৩০)

>> চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়াজীর মেয়ে ফারজানা (১৫)

>> শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ তিরাশি গ্রামের মাইনুদ্দিনের স্ত্রী কাকলী বেগম (২০)

>> কাকলীর মামাতো ভাই জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আমাতুন বেগম (৪০)

>> আমাতুনের মেয়ে মরিয়ম (৪)

>> মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মসলিম মিয়ার স্ত্রী জাহেদা খাতুন (৩০)

>> নোয়াখালীর মাইজদীর শংকর হরিজনের ছেলে রবি হরিজন (২৩)

সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মন্দবাগ স্টেশনে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস এবং আন্তঃনগর তুর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে এই ১৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন অর্ধশতাধিক।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।

এছাড়া লাশ বাড়ি নিয়ে দাফন করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।