মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মফিজুল হক, এমডি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, খায়রুল বাশার সজল, আবদুল হান্নান সরকার, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, এইচএম আমিরুল ইসলাম, মো. ওলিয়ার রহমান, ফজলুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান (তপন), মোহাম্মদ সোলাইমান সরোয়ার, হারুন আর রশিদ, শেখ আবদুল্লাহ আল মেহেদী, সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, এমএ সাদী, আসলাম হোসাইন, মেহেদী হাসান মোজাফ্ফর, ইমতিয়াজ হোসেন কাওসার ও মিজানুর রহমান।
এমএলএম ব্যবসার নামে অতি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩০৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ২২ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এই মামলা করেছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক নূর হোসেন খান।
দুদকের সহকারী পরিদর্শক হারুন-অর রশিদ তালুকদার জানান, আসামিদের প্রত্যেককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাচার করা ৩০০ কোটি ৯৩ লাখ ১২ হাজার ৭৩৯ টাকার দ্বিগুণ ৬০৩ কোটি ৮৬ হাজার ২৫ হাজার ৪৭৮ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে হিসাবে আসামিদের প্রত্যেকের জরিমানা হয় ২৮ কোটি ৬৬ লাখ এক হাজার ২১৩ টাকা।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এই টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা না দিলে তা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মাধ্যমে আদায়যোগ্য হবে বলে জানান হারুন-অর রশিদ।
রায়ের বরাত দিয়ে দুদকের আইনজীবী এমএ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে ম্যাক্সিম ফাইন্যান্সের ১১৩টি শাখার মাধ্যমে ১৮ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় ৩০৪ কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
“এই টাকা ম্যাক্সিম গ্রুপভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয়, যা মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
তিনি বলেন, “গ্রাহকের আমানতের বিপরীতে প্রতি লাখে মাসে দুই হাজার টাকা ও আদায়কারীকে মাসে ৫০০ টাকা করে কমিশন দেওয়া হয়। ব্যবসা করে ওই হারে মুনাফা দেওয়া সম্ভব নয়।”
“এ ক্ষেত্রে নতুন গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ পুরনো গ্রাহকদেরকে দেওয়া হত। ম্যাক্সিম ফাইন্যান্স থেকে সংগ্রহ করা অর্থ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হত। প্রতিষ্ঠানটির ১১৩টি শাখা থাকলেও সমবায় অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন রয়েছে ২৫টি শাখার। “