বুলবুল আসছে বিপদ সংকেত নিয়ে

ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে সুন্দরবন উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2019, 08:19 PM
Updated : 8 Nov 2019, 08:55 PM

আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস ঠিক থাকলে, কয়েকশ কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে এ ঝড় শনিবার সন্ধ্যার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

উত্তর-উত্তরপূর্বমুখী যে গতিপথ ধরে বুলবুল অগ্রসর হচ্ছে তার চার পাশে মোটামুটি ২২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে অনুভূত হবে ঘূর্ণিবায়ুর তাণ্ডব। বিস্তীর্ণ এ অঞ্চলে কয়েক কোটি মানুষের বসবাস।

ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় শুক্রবার থেকেই বিপুল প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। দশের তিন বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে বিপদ সংকেত। প্রস্তুতি চলছে ভারতেও।  

# অবস্থান: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসারে অবস্থানরত ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের গতিপথ শুরুতে ছিল অনেকটাই এলোমেলো। তবে শুক্রবার ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি এসে মোটামুটি অনুমিতভাবেই এ ঝড় সামান্য দিক বদলে উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করেছে।

শুক্রবার রাত ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল এ ঝড়।

# শক্তি:  আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ তখন ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

তবে উপকূল অতিক্রম করার সময় এর শক্তি কিছুটা কমে আসতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের ধারণা ঠিক হলে তখন বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে আবহওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত জারি করার পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

# আঘাত হানবে কখন:
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘণ্টায় মোটামুটি ১৭ কিলোমিটার গতিতে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। মধ্যরাতে এর গতি আরও বাড়ে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আয়েশা খাতুন বলছেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে সুন্দরবন অঞ্চল দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এ ঝড়।

# সংকেত: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আর কক্সবাজারে দেখাতে বলা হয়েছে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত।

# বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাস: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় বিরাজ করছে মেঘলা আবহাওয়া, অনেক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। গত কয়েক দিনে আশপাশের আকাশ থেকে মেঘ টেনে নেওয়া বুলবুল উপকূলে হাজির হবে প্রবল বৃষ্টি নিয়ে।

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার ভোর থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ও চাঁদের আকর্ষণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

সাত জেলা ঝুঁকিপূর্ণ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে ধরে নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

শুক্রবার বিকালে সচিবালয়ে ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বিবেচনা করে প্রস্তুতি সাজানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধার ও জরুরি ত্রাণ তৎপরতার জন্য। পাশাপাশি উপকূলীয় সেনা ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ২০০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকে এবং ২২টি কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে সতর্কবার্তা প্রচার করছে।

ঘূর্ণিঝড় থেকে নিজের ও পরিবারের জান-মাল রক্ষায় উপকূলীয় নিচু এলাকার বাসিন্দাদের শনিবার দুপুর ২টার মধ্যে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সব মোবাইলে এসএমএস পাঠাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে ধরে নিয়ে ১৪ ঘণ্টা আগে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। বেলা ১১টায় সচিবালয়ে প্রস্তুতি সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, যে প্রস্তুতি রয়েছে, তাতে ফসল ছাড়া বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তিনি দেখছেন না।

উপকূলীয় ১৩ জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব শাখা খোলা রাখা হয়েছে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য।

সেই সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড় এগিয়ে আসায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে শনিবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। জেএসসির স্থগিত পরীক্ষা ১২ নভেম্বর এবং জেডিসির স্থগিত পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর হবে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শনিবারের সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। এ পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে তা পরে জানানো হবে।

আবহওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত জারি করার পর চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

পাশাপাশি সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছে অভ্যন্তরীণ নৌপ‌রিবহন কর্তৃপ‌ক্ষ।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার ই আলম জানান, এখন পর্যন্ত বিমানবন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আবহাওয়া আরও খারাপ হলে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।

প্রস্তুতি ভারতেও

দশবছর আগে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবন এলাকায় আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ঝড়ের শক্তি ছিল বুলবুলের মতই।

আনন্দবাজার লিখেছে, বুলবুলের তাণ্ডবে সুন্দরবনের ক্ষতির শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা। উপকূলীয় প্রশাসনকে সেভাবেই সতর্ক করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি হচ্ছে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে কলকাতাতেও। শনি ও রবিবার বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।

জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস থাকায় দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুর, বকখালির সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের। চব্বিশ পরগনাসহ কয়েকটি জেলায় স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুলবুল

সুদূর প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় মাতমো গত অক্টোবরের শেষে ভিয়েতনাম হয়ে স্থলভাগে উঠে আসে। সেই ঘূর্ণিবায়ুর অবশিষ্টাংশই ইন্দোনেশিয়া পেরিয়ে ভারত মহাসাগরে এসে আবার নিম্নচাপের রূপ নেয়।

বার বার দিক বদলে নিম্নচাপটি আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে বুধবার রাতে তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় বুলবুল।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তরের নির্ধারিত তালিকা থেকে ধারাবাহিকভাবে এই অঞ্চলের ঝড়ের নাম দেওয়া হয়। বুলবুল নামটি নেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে।

তিন দশকের ঘূর্ণিঝড়

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমেছে। তবে মাত্র এক যুগ আগেও প্রলয়ঙ্করী সিডর যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়ে গেছে, বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতিতে এখনও তা স্পষ্ট। ২০০৭ সালের নভেম্বরের ওই ঝড় ও তার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারিয়েছিল সাড়ে তিন হাজার মানুষ।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় দেশের দক্ষিণ উপকূল। উত্তর ভারত মহাসাগরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্ট এ ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩২টি জেলার ২০ লাখ মানুষ। উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৬ লাখ টন ধান নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরবনের প্রাণীদের পাশাপাশি ব্যাপক গবাদিপশু প্রাণ হারায়।

তার আগে ১৯৯১ সালের ৩০ এপ্রিল বয়ে যায় আরেক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়। ভারত মহাসাগরে উৎপত্তি ছিল সেই ঝড়ের, পরে তা ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে চট্টগ্রাম ও বরিশালের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। প্রায় দেড় লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে সেই ঝড়ে।

২০০৯ সালের ২৫ মে ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড় আইলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আঘাত হানে। সেই ঘূর্ণিঝড় ভারতের ১৪৯ জন ও বাংলাদেশের ১৯৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে উপকূলে প্রায় ৩ লাখ মানুষ বাস্তুভিটা হারায়।

২০০৮ সালের অক্টোবরে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেশমিতেও প্রাণহানি ঘটে। আর ২০১৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ কেড়ে নেয় ১৭ জনের প্রাণ। এরপর ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে চট্টগ্রামে মারা যান ২৬ জন।