সৌহার্দ্য বাড়াতে এসেছি: মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা বলেছেন, এভাবেই সম্পর্কোন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2019, 03:52 PM
Updated : 7 Nov 2019, 03:54 PM

বৃহস্পতিবার সকালে আফতাবনগরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে শিক্ষা, শিল্প, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী সাংমা বলেন, “মাত্র ১৫ দিন আগে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এনামুল হকের সাথে আমার পরিচয় হয়। তিনি আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান। তার আমন্ত্রণ আমি গ্রহণ করেছি এবং আমি এখানে ছুটে এসেছি। কারণ আমি মনে করি যে, এভাবেই সম্পর্ক হয়।”

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, আমাদের এই উপমহাদেশের, ভারত, বাংলাদেশ, বার্মা, থাইল্যান্ড এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর একটা বেশ বড় সম্ভাবনা রয়ে গেছে। কিন্তু আমরা সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারিনি। দেরিতে হলেও আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি।

“আমরা চেষ্টা করছি পারস্পরিক দূরত্ব কমিয়ে আনতে। যদি প্রতিটি দেশের মানুষে মানুষে সম্পর্ক উন্নয়ন হয় আমরা আমাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারব।”

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন মেঘালয় রাজ্য সরকারে অর্থ, জ্বালানি ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া সাংমা।

তিনি বলেন, “আমি মনে করি, মন্ত্রণালয়ে বসে কোনোভাবেই উন্নয়ন করা সম্ভব না। তাই আমি যেখানে যাই সেখানে বিমানে করে ঘুরি না, বরং আমি স্থলপথে চলতে পছন্দ করি। পথে চলতে চলতে একটা জায়গা সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া যায়।

“আমি বাংলাদেশে চার দিনের সফরে বিমান ব্যবহার করব না, আমি বাংলাদেশকে স্থলপথে ঘুরে দেখতে চাই।”

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী সাংমা বলেন, “আমি মনে করি যে, শুধু পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে হবে না। আপনাদের সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে, সাধারণ মানুষ যেভাবে চলে সেভাবে চলে আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। যখন আপনারা যেখানে যাবেন অবশ্যই সেখানে স্থলপথে ভ্রমণ করবেন এবং অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করবেন।”

বাংলাদেশ ও মেঘালয়ের মধ্যে কোন কোন খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যায় তার ওপর আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সিমেন্টের কারখানা আছে, সিমেন্ট বানাতে যে মূল উপাদান লাগে মেঘালয় রাজ্যে তা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও মেঘালয়ের মধ্যে আলোচনা হতে পারে যে, কীভাবে নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায়।

“পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে মেঘালয়ে আরও পর্যটক কীভাবে বাড়ানো যায় সেগুলো চিন্তা- ভাবনা করে দেখা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কৃষি পণ্য রপ্তানি হয়, যার বেশ কয়েকটি মেঘালয়ে উত্পণ্য হয়। সে বিষয়ে বড় একটা সম্ভাবনা রয়ে গেছে। আমি আশা করব, বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মেঘালয়ের এসব বিষয়ে বিভিন্ন সহযোগিতা আগের তুলনায় বাড়বে।”

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এ সময় কনরাড কে সাংমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বক্তব্যে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের সুবিধার দিকগুলো তুলে ধরেন।