ঢাকার মহানগর হাকিম সারাফুজ্জমান আনছারীর খাসকামরায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালত পুলিশের এসআই আশরাফ আলী জানিয়েছেন।
কেন ও কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড, তার বিস্তারিত বিবরণ ওই গৃহকর্মী দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডে অপর কারও সরাসরি অংশগ্রহণ বা অন্য কোনোভাবে সম্পৃক্ততা ছিল না বলে জবানবন্দিতে বলেছেন সুরভী।”
আফরোজা ও গৃহকর্মী যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, আর তার উল্টো দিকের ফ্ল্যাট এবং তার ঠিক উপরে ছয়তলার ফ্ল্যাট নিয়ে ডুপ্লেক্সে বাসায় স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন আফরোজার মেয়ে দিলরুবা সুলতানা রুবা।
রুবার স্বামী মনির উদ্দিন তারিম ঘটনার দিন বলেছিলেন, শুক্রবার তার শাশুড়ির বাসায় নতুন এক গৃহকর্মী কাজে এসেছিল। এলাকার এক পানের দোকানদারের মাধ্যমে নতুন ওই গৃহপরিচারিকার খোঁজ এনেছিল তাদের কর্মচারী মো. আতিকুল হক বাচ্চু।
নিরাপত্তাকর্মী বা কর্মচারীদের যোগসাজশে ওই ‘কাজের বুয়াই’ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সেদিন সন্দেহ প্রকাশ করেন তারিম।
দুই দিন পর আগারগাঁও বস্তি থেকে সুরভী আক্তার নাহিদা নামের ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ‘বাসা থেকে বের হতে বাধা দেওয়ায়’ ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা বলেছেন তিনি।
এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুরভীসহ গ্রেপ্তার পাঁচজনকে মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত।
অপর আসামিরা হলেন- মো. নুরুজ্জামান (দারোয়ান), গাওসুল আযম প্রিন্স (তত্ত্বাবধায়ক), মো. আতিকুল হক বাচ্চু ও বেলায়েত হোসেন।
জবানবন্দি শেষে সুরভী আক্তার নাহিদাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে এসআই আশরাফ জানিয়েছেন।