এই আইনে ১৪ নভেম্বরের আগে সড়কে কোনো মামলা হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর সড়ক ভবনে এক সভায় তিনি বলেন, আইনটি কার্যকর করতে আরও এক সময় সপ্তাহ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিধি প্রণয়নের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আইনে শাস্তির পরিমাণ কি তা সবাইকে জানানো দরকার।
সড়কমন্ত্রী বলেন, “এই আইনের বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং জব। এখানে বাধা আছে চ্যালেঞ্জ আছে। সাহসের দরকার, সততার দরকার ও কমিটমেন্টের দরকার।
“আইন যেমন আছে, তেমনই আইনের বিধিও দরকার। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হলে শাস্তি থাকতে হবে। এই কারণেই কয়েক দিন ধরে বিআরটিএতে লাইসেন্স নবায়নের হিড়িক পড়েছে।”
ঢাকার সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর পর গত বছর শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের পর শাস্তির বিধান কঠোর করে নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন হয়, যা ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও জনসচেতনতা ও বিধি প্রয়োজনের জন্য সময় নেওয়া হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিআরটিএ ও বিআরটিসি নিয়ে প্রায়শই আমি দুশ্চিন্তায় থাকি। প্রায়ই এই দুটি প্রতিষ্ঠান খারাপ খবরের শিরোনাম হয়। “
তিনি বলেন, বিআরটিএ ‘অপকর্মকারী’ কর্মকর্তাদের এখানে ওখানে বদলি করেও শোধরানো যায় না; চুরি-চামারি, দুর্নীতি তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এদের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে, এদের বের করে দিতে হবে।
“নানা জায়গায় কাজ করে অপকের্মের ব্যাপারে পাকা হয়ে গেছে অনেক কর্মকর্তা, তাদের বাদ দিতে হবে। এই ছিঁচকে চোর বদলি করেও পরিবর্তন হয় না।”