সেই সঙ্গে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহারকারী বেলুন বিক্রেতাদের পাকড়াও করতে পুলিশের তৎপরতাও চায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দপ্তরটি।
রাজধানীর রূপনগরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের যে তদন্ত প্রতিবেদন বুধবার মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ছে, তাতে এই সুপারিশ থাকছে বলে জানা গেছে।
এক সপ্তাহ আগে মনিপুর স্কুলের রূপনগর শাখার বিপরীত দিকে ১১ নম্বর সড়কে শিয়ালবাড়ি বস্তির পাশে বেলুনের গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অবহেলায় মৃত্যু সংঘটন) এবং বিস্ফোরক আইনে মামলাও হয়েছে।
অনুমোদিত উপায়ে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদনের কারণেই এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটছে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
পরিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. সামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনা ঘটেছে হকার শ্রেণির লোকের মাধ্যমে। নিয়ম না মেনে নিজে হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই পাত্রে হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি করছিল সে। এক পর্যায়ে কেমিকেলের রিঅ্যাকশনে অতিরিক্ত হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
সামসুল জানান, এধরনের ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের কাজ দেখামাত্র বেলুন বিক্রেতাদের যেন ধরা হয়, সে বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক করা হবে।
“হাইড্রোজেন বেলুনের পরিবর্তে যদি হ্যালোজেন বেলুন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যায় কি না এবং হাইড্রোজেন বেলুন নিষিদ্ধ করা যায় কিনা, সে বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরব।”
“সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি, পিতা-মাতাদের সচেতনতা। তারা যেন হাইড্রোজেন বেলুন না দেয় শিশুদের,” বলেন তিনি।
প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক বলেন, “এ ধরনের কার্যক্রম রোধ করার জন্যে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করার বিষয়ে আগেও চিঠি দিয়েছি। আবারও চিঠি দিচ্ছি। সতর্কতার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারণার জন্য মন্ত্রণালয়ে লিখেছি। জন সচেতনতার বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”