গত সপ্তাহে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আরজুন। তা আগামী ২০ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে জানা যায়।।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৬ বছরের যুবক হারুন ধর্ষণের পর শিশুটির গলায় শক্ত পাটের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
ওয়ারিতে যে ভবনে সায়মা তার বাবা-মার সঙ্গে থাকত, ওই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাটে অতিথি হয়ে এসেছিলেন হারুন। তার খালাত ভাই পারভেজের বাসায় প্রায় দুমাস ধরে থাকছিলেন হারুন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ৫ জুলাই সন্ধ্যায় পারভেজের ছোট ছেলের জন্য খেলতে ওই বাসায় এসেছিল সামিয়া। তখন হারুন ছাদ দেখানোর কথা বলে সামিয়াকে ওই ভবনের ৯ তলায় একটি খালি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষণ ও খুন করে।
মেয়ে হত্যাকাণ্ডের পর আব্দুস সালাম গত ৬ জুলাই ওয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।