দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তহবিল ব্যবহার নীতিমালায় সায়

বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে বেগবান করতে ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নীতিমালা-২০১৯’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2019, 01:08 PM
Updated : 4 Nov 2019, 01:08 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমাবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে এটি ছিল খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের প্রথম ব্রিফিং।

তিনি বলেন, “দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

“জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দক্ষতা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, কার্যক্রম, গবেষণা সমীক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান প্রদান করার ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের আবেদন যাচাই বাছাই পূর্বক নিষ্পত্তি করবে এবং জাতীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন তহবিল কোম্পানিকে প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানকে অনুদান প্রদানে অনুরোধ জানাবে।”

অর্থ বিভাগ ইতোমধ্যে জাতীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন তহবিল কোম্পানি গঠন করেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অর্থ বরাদ্দের জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ প্রদানকারীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া, অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তিতে প্রতিষ্ঠানসমূহের যোগ্যতা নির্ধারণ, প্রশিক্ষণার্থীকে উপবৃত্তি প্রদানের মানদণ্ড, দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কিত কার্যক্রম গবেষণা সমীক্ষা ও উদ্ভাবন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং তহবিলের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকরণ, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের বিষয়ে নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ছবি: পিআইডি

তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বাড়বে এবং কর্মসংস্থান ও আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকার সমস্যার নিরসন হবে এবং সর্বোপরি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

বর্তমানে ২৩টি মন্ত্রণালয় মানবসম্পদ উন্নয়নে তহবিল দিয়ে থাকে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “একটি কমন নীতিমালার মাধ্যমে দিতে এই নীতিমালা করা হয়েছে।”

অর্থ মন্ত্রণালয় একটি তহবিল অনুমোদন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই নীতির অনুসরণ করে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হবে।”

 প্রশিক্ষণার্থী, প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, শিল্প দক্ষতা পরিষদ, অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, চর ও হাওর অঞ্চলের জনগোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, পথশিশু, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী, বস্তিবাসী, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া, চাকরিপ্রার্থী, বেকার বিদেশগামী কর্মী, বিদেশ প্রত্যাবর্তন কর্মী আলাদা আলাদা কর্মসূচিতে এই তহবিলের সুবিধা পাবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।