সৌদিতে শুধু ইকামাই যথেষ্ট নয়: দূতাবাস

নিয়মভঙ্গের অভিযোগে সৌদি আরব থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2019, 10:18 AM
Updated : 4 Nov 2019, 10:18 AM

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন সৌদি আরবে কাজ করার জন্য কেবল ইকামা বা বসবাসের পরিচিতি থাকাটাই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে নির্দিষ্ট জায়গায় কাজও করতে হবে।

দূতাবাস বলছে, প্রবাসী বাংলাদেশি অনেক কর্মীই স্পন্সরের কাছ থেকে ইকামা (রেসিডেন্ট আইডি) নিয়ে তথাকথিত ’ফ্রি ভিসায়’ বাইরে কাজ করে অথবা ব্যবসা করে এবং তারা মনে করে ইকামা থাকাই তাদের বৈধতার জন্য যথেষ্ট।

”কিন্তু কোনো কর্মীর কাছে শুধু ইকামা থাকাই তার বৈধতার প্রমাণক হিসেবে যথেষ্ট নয়,” বলা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরো বলা হয়, “বৈধ ও ভ্যালিড ইকামা নিয়ে যদি কেউ স্পন্সরের বাইরে কাজ করে, স্পন্সরের কাজ হতে পালিয়ে যায় কিংবা ইকামা, বর্ডার ও শ্রম আইনের কোনো ধারা ভঙ্গ করে তাহলে তাকে আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করে সৌদি সরকারের অর্থায়নে ডিপোর্টেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারে।”

নিয়মভঙ্গের অভিযোগ এনে কেবল চলতি বছরেই ২১ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বলে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির তথ্য। সর্বশেষ রোববার সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৬১ জন শ্রমিক।

চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে সৌদি আরবে গৃহকর্মে যাওয়া অন্তত ৯৬০ জন নারীও দেশে ফিরে এসেছেন। এই নারীদের বেশিরভাগই নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করছেন। এর মধ্যে অন্তত ৪৮ জন নারীর মৃতদেহ এসেছে সে দেশ থেকে।

সৌদি সরকার কিছু পেশা ও সেক্টরে অন্য দেশের নাগরিকদের কাজ করা নিষিদ্ধ করায়ও অনেকে অবৈধ হয়ে পড়ছেন বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

”ঐ সকল পেশায় যদি কোনো প্রবাসী নিযুক্ত থাকেন, তিনি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং এরকম অবৈধ প্রবাসীদেরও কর্তৃপক্ষ আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়,” বলা হয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

২০১৭ সালের নভেম্বরে সৌদি আরবে প্রবাসী কর্মীদের ’সাধারণ ক্ষমার’ সুযোগ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম জোরদার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।